রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে কলেজে স্থাপিত করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর মেশিনের বায়ো সেফটি কেবিনেট নামে একটি যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দেয়ায় সেটি পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আগের চেয়ে ৪ ভাগ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক চিকিৎসক।
বিষয়টি স্বীকার করলেও সমস্যা হবে না বলে দাবি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন, কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করা হয়েছে, অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমকে বিষয়টি অবহিত করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষন দাস। এ সময় সার্বিক বিষয় প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষর সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন।
মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরপি-করোনা ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সহযোগি অধ্যাপক একেএম আকবর কবির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ল্যাবে কাজ করার সময় পিসিআর মেশিনের সহায়ক মেশিন বায়ো সেফটি কেবিনেটে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি অধ্যক্ষ এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানালে তারা প্রথম বায়োসেফটি কেবিনেট মেশিনের চেয়ে কম সক্ষমতা সম্পন্ন একটি মেশিন তরিঘরি করে প্রতিস্থাপন করে। বর্তমান মেশিনের সক্ষমতা আগের মেশিনের চার ভাগের একভাগ। আগের মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ৯৬টি পরীক্ষার করার সক্ষমতা থাকলেও এখন তা ৪ ভাগের একভাগে নেমে এসেছে।
মেশিনটির ত্রুটির কথা স্বীকার করলেও এতে আপাতত সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষন দাস। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, আরটি-পিসিআর মেশিনের বায়োসেফটি কেবিনেটে ত্রুটির কথা জানতে পেরে তিনি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, গত বুধবার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনা পরীক্ষার ল্যাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। গত দুই দিনে ওই ল্যাবে শেরই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৪জন সন্দেহভাজন রোগীর নমূনা পরীক্ষা করা হয়।